শীতকালীন ফসল কি কি কোন সবজি কখন চাষের উপযুক্ত সময়
প্রিয় পাঠক আপনি যদি জানতে চান শীতকালীন ফসল কি কি কোন সবজি কখন চাষের উপযুক্ত সময় তাহলে আজকে আপনি সঠিক আটিকেলটিতে প্রবেশ করেছেন প্রিয় কৃষক ভাই শীতকাল মৌসুম আপনার জন্য হতে পারে একটি অর্থনৈতিক লাভজনক মৌসুম
যদি আপনার জানা থাকে শীতকাল ফসল কি কি এবং কোন সবজি কখন চাষের উপযুক্ত সময় তাই আপনি যদি শীতকালীন ফল উৎপাদন করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে চান তাহলে দেরি না করে নিচের আলোচনা গুলো মন দিয়ে
ভুমিকা
প্রিয় পাঠক শীতকাল মানে খেজুরের মিষ্টি রস ও নানান ধরনের পিঠে পুলির উৎসব এছাড়াও সবজি উৎপাদনের জন্য শীতকাল মৌসম অত্যন্ত উপযোগী একটি মৌসুম। শীতকালে আমাদের দেশে নানান ধরনের পুষ্টিকর ও সুস্বাদু ফসলের উৎপাদন ব্যাপক হয়ে থাকে আমাদের দেশের কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রমের কাছেও যেন শীতকাল হার মেনে যায় চোখের আক্রান্ত পরিশ্রম এবং তাদের ঘাম ঝরানো সহজ আমরা অত্যন্ত সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর বহু পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ফসল পেয়ে থাকি যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন এবং শরীরের ভিটামিন ক্যালসিয়াম ইত্যাদি ঘাটতি পূরণ করতে সহায়তা করে শীতকাল মৌসুমে সব থেকে বেশি ফসল মা সত্যি উৎপাদন হয়ে থাকে
শীতকালীন ফসল কি কি কোন সবজি কখন চাষের উপযুক্ত সময়
শীতকালে এলেই দেশের মাঠগুলো সবুজ ফসলের ভরে ওঠে ফসল গুলো আমাদের শারীরিক চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে ও ভূমিকা রাখে এছাড়াও শীতকালীন ফসলগুলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বৃদ্ধি ক্ষেত্রেও অনেকটা সাহায্য করে। শীতকালীন ফসলগুলো আমাদের শরীরের ভিটামিন ক্যালসিয়াম প্রোটিন ইত্যাদি পূরণ করতে সাহায্য করে থাকে অন্যান্য মৌসুমগুলো থেকে
শীতকালীন মৌসুমে সবজি উৎপাদন অনেক বেশি হয়ে থাকে আমাদের দেশে শীতকালে শুধু শাক সবজি উৎপাদন হয় না এর সাথে পিঠাপুলি খেজুরের রস খেজুরের গুড় এবং শীতকালীন ফলমূল গুলো অনেক বেশি পাওয়া যায় চলুন তবে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক শীতকালীন ফসলগুলি কি কি কোন সবজি কখন চাষের উপযুক্ত সময়
ফুলকপি ফুলকপি আমাদের দেশে শীতকালে এলেই প্রথমে যে সবজিটির নাম আসে সেটি হল ফুলকপি ফুলকপি দেখতে অনেক সুন্দর এবং চমৎকার ফুলকপির রং অনেকটা সাদা এটি তো অনেক পুষ্টিগুণ এবং মান রয়েছে ফুলকপিতে ভিটামিন সি ভরপুর রয়েছে ফুলকপি ভাজি এবং তরকারি করে খাওয়া যায় শীতকালে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে শীতকালে দেশের প্রতিটি বাজারে ফুলকপি দেখতে পাবেন এবং এর বাজার মূল্য বেশ অনেক ভালো তাই এই একটি শীতকালীন ফসল চাষ করে আপনি সহজে লাভবান হতে পারবেন
বাঁধাকপি বাঁধাকপি ও ফুলকপির মতই বহু পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি সবজি যা শীতকালীন উৎপাদন হয়ে থাকে বাঁধাকপির প্রতিটি স্তর পাতায় মোড়ানো থাকে বাঁধাকপি ভাজি এবং তরকারি খেতে বেশ লাগে বাঁধাকপি চাইনিজরা অনেক বেশি পছন্দ করে থাকেন এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ ও ফাইবার রয়েছে শীতকালীন মৌসুমে প্রতিটির বাজারে বাঁধাকপি দেখা যায় শীতকালের চাহিদা ব্যাপক পরিমাণে থাকে এবং এর বাজার মূল্য অনেকটা ভালো আমাদের দেশে শীতকালে প্রতিটি পরিবারে রান্নার তালিকায় বাঁধাকপি থাকে এই শীতকালীন ফসল বাঁধাকপি চাষ করে আপনি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারেন
মুলা শীতকালীন ফসলের মধ্যে অতি পরিচিত ও জনপ্রিয় একটি ফসল বা সবজির নাম হল মুলা আমাদের দেশে সাদা এবং লাল উভয় ধরণের মুলা চাষ হয় মুলা ভাজি সালাদ ও তরকারি করে খাওয়া যায় মুলাতে অনেক পরিমাণে পটাসিয়াম ভিটামিন সি ও এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং আমাদের দেহকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে শীতকালে এটি চাহিদা অনেক থাকে তাই এটি আপনি শীতকালে চাষ করতে পারেন
পালং শাক পালং শাক ঘণ্ট ও গরম ভাত যেন বাঙালির শীতের সকালের প্রিয় খাবার শুধু সবজি নয় এটি বহু পুষ্টিগুণে সম্পন্ন এর অনেক পুষ্টিগুণ আছে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজন পালং শাকের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ভিটামিন এ ভিটামিন কে ও আয়রন এছাড়াও পালং শাক আমাদের শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করতে অনেকটা সাহায্য করে থাকে এবং আমাদের চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে থাকে শীতকালীন মৌসুমে পালং শাকের উৎপাদন অনেক বেশি হয়ে থাকে এটি দেখতে অনেক সুন্দর এবং খেতেও সুস্বাদু এটি বাজারে অনেক চাহিদা থাকে আমাদের দেশের মানুষ পালং শাক অনেক পছন্দ করে থাকে তাই এটি চাষ করে আপনি সহজে লাভবান হতে পারবেন
পেপে এটি দেখতে যেমন অনেক সুন্দর তেমনি খেতে অনেক চমৎকার এটি কাচা খাওয়া যায় এটি ফল ও সবজি উভয় হিসেবে খাওয়া যায় পেপে খেলে আমদের শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে এছাড়াও অনেক উপকারিতা রয়েছে
লাউ শীতকালীন সবজি গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো লাউ এর পুষ্টিগুণ হল ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম অনেক বেশি থাকে লাউ আমাদের দেশে সারা বছর চাষ করা যায় লাউ এর জাত গুলো হল বারি লাউ -১ বারি লাউ -২ বারি লাউ -৩ বারি লাউ -৪
কচুরলতি কচুরলতি শাক এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ক্যালসিয়াম ভিটামিন বি আয়োডিন ভিটামিন সি ইত্যাদি পুষ্টিগুণ রয়েছে যা আমাদের শরীরের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে থাকে আমাদের দেহের হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে চুল পড়া রোধ করে থাকে এবং দেহের হিমগ্লবিন পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে এছাড়াও ঘুমের সমস্যা অতিরিক্ত ক্লান্তি ভাব দূর করতে সাহায্য করে
লালশাক লাল শাক একটি জনপ্রিয় অতি পরিচিত একটি সবজি লাল শাক দেখতে অনেকটা লালচে এবং গোলাপি রঙের হয়ে থাকে এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ , সি এবং ফাইবার রয়েছে লাল শাকের উপকারিতা গুলো হলো রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে, দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে অত্যন্ত উপকারী একটি সবজি। এছাড়াও লালশাক হজম করতে সহায়তা করে আমাদের দেশে চাষ উপযোগী হওয়ায় বারি-১ লালশাক সারা বছর চাষ করা হয়
বেগুন বেগুন একটি ভিটামিন মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফাইবার সম্পৃক্ত একটি সবজি যা আমাদের দেহের হার্টকে সুস্থ রাখতে অনেক সাহায্য করে আমাদের শরীরের কোলেস্টেরল কমাতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকটা উপকারী বেগুন আমাদের শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্য চোখের দৃষ্টিশক্তি এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে থাকে আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং ক্যান্সারের মতো বড় রোগের সাথে লড়াই করে থাকে এবং গর্ভবতী নারীদের জন্য শরীরের যে ফলিক এসিড প্রয়োজন তা সরবরাহ করতে বেগুন অত্যন্ত সহকারি একটি সবজি। বেগুন এমন একটি ফসল বা সবজি যা তরকারি ভাজি ভর্তা করে খাওয়া যায় বাজারে অনেক চাহিদা রয়েছে তাই বেগুন চাষ আপনার জন্য লাভজনক হতে পারে
মটরশুঁটি মটরশুটি একটি ফল হলেও এটি আমাদের দেশে সবজি হিসেবে এর ব্যবহার হয়ে থাকে, মটরশুটিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ফাইবার ভিটামিন ও খনিজ এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা আমাদের শরীরের কোলেস্টেরল কমাতে রোগ প্রতিরো ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং হজমে সহায়তা করে। মটরশুঁটির পুষ্টিগুণের কারণে এর ব্যবহার রান্নায় অনেক বেশি পোলাও খিচুড়ি এবং মাছের ঝোলে রান্নার স্বাদ বৃদ্ধি করতে অনেকটা কাজে লাগে মটরশুটি
আলু আলো আমাদের দেশে অতি পরিচিত একটি ফসল বা সবজি আমাদের দেশের রান্নার তালিকায় সবসময় আলো বিদ্যমান আলোতে ভিটামিন ও খনিত উপাদান আছে যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোক্ষ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে এবং শরীরের শক্তি যোগায় সাহায্য হজমে সাহায্য করে আলোতে থাকা পটাশিয়াম ফাইবার ভিটামিন সি আমাদের মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং দাঁতের মাড়ি ভালো রাখে কালো একটি শীতকালীন ফসল হিসেবে পরিচত এর চাষ জানুয়ারি মাঝামাঝি এবং ফেব্রুয়ারি শুরুর দিকে চাষ শুরু করা আমাদের দেশের আলুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এবং এর বাজার মূল্য প্রতি কেজি প্রায় ৭০-৮০ টাকা শীতকালীন সময়ে সঠিক নিয়মে আলু চাষ করতে পারলে আপনি সহজেই অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারবেন
কলা বিশ্বব্যাপী অতি জনপ্রিয় এবং পরিচিত ফলের নাম কলা কলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন খনিজ সাথে ক্যালরির একটি ভালো উৎস হিসেবে ধরা হয় এর উপকারিতা আমাদের শরীরের রক্তে হিমোগ্লোবিন পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে শীতকালে ও কলা চাষ করা যায়
টমেটো টমেটো এখন আমাদের দেশে প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায় তবে শীতকালে টমেটোর স্বাদ এবং গন্ধ গন্ধ আলাদা টমেটোর টক মিষ্টি স্বাদ যে কোন খাবারের স্বাদ অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। টমেটো অনেক রকম ভাবে খাওয়া যায় যেমন সালাদ, সস, স্যুপ ও তরকারি ইত্যাদি। টমেটো একটি বহু গুণ সম্পুন একটি ফসল বা সবজি । টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ভিটামিন এ বিদ্যমান রয়েছে টমেটোতে একপ্রকার লাইকোপেন শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমাদের শরীরের মধ্যে থাকা ক্যান্সার কে প্রতিরোধে সহায়তা করে এছাড়াও টমেটো দেখতে অনেক সুন্দর এবং সুস্বাদু হয়। এটি কাচাও খাওয়া যায় তরকারি ছাড়াও খাওয়া যাবে। টমেটো বাজারে বেশ চাহিদা রয়েছে তাই আপনি নিঃসন্দেহে টমেটো আসল উৎপাদন করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারবেন।
সরিষা শীতকালে হলুদ সরিষার ক্ষেত দেখতে আনন্দে মন ভরে যায় এই সরিসা ফুল শুধু আমাদের চোখের তৃপ্তি মেটায় না এটি একটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তেল বীজ ফসল এবং এই সরিষার পাতা গুলো সবজি হিসেবে খাওয়া যায় এই সরিষার বীজ থেকে আমাদের জন্য তেল উৎপাদিত হয় এই তেল বাঙালির এক রান্নার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে পরিচিত এবং এর শাক জনপ্রিয় খাদ্য, এই সরিষা ফুল থেকে মৌমাছিরা মধু সংগ্রহ করে থাকেন সরিষা আমাদের দেশে বিশেষ চাহিদা রয়েছে তাই এটি চাষ করে আপনি অল্পতে লাভবান হতে পারবেন
গাজর গাজর এটি দেখতে যেমন সুন্দর হয় তেমনি গাজরের স্বাদ অত্যন্ত মিষ্টি এবং সুস্বাদু হয়ে থাকে শীতকালে জনপ্রিয় এবং পুষ্টিকর সবজির নাম গাজর। গাজরের রং কমলা গাজরের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ বিটা ক্যারোটিন গাজরের উপকারিতা গুলো হল এটি আমাদের দেহের ভিটামিন ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে এবং আমাদের চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে অনেক বেশি সহায়তা করে গাজর সালাত জুস হালুয়া এবং তরকারি করেও খাওয়া যায় গাজর শীতকালে উৎপাদন বেশি হয়ে থাকে গাজর চাষের জন্য শীতকাল অত্যন্ত উপযোগী মৌসুম গাজরের চাহিদা আমাদের দেশে ব্যাপক হয়েছে। গাজর চাষ করে আপনি খুব সহজেই অর্থনৈতিকভাবে অনেক লাভবান হতে পারবেন। গাজর আপনার জন্য একটি লাভজনক পেশা হতে পারে
শিম শীতকালীন সবজি বা ফসলের তালিকায় সিম একটি বিশেষ স্থান দখল করে রয়েছে সিমের দানা এবং খোঁচাগুলো উপায় খাওয়া যায় সিম দেখতে অনেকটা ছোট এবং সবুজ কালার হয়ে থাকে এটি খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু সিম ভর্তা ভাজি চচ্চড়ি তরকারি এবং মাছের সাথে মিক্স করে খাওয়া যায় । সিমের মধ্যে রয়েছে প্রোটিন ফাইবার এবং খনিজ উপাদান আমাদের দেশে প্রায় সব অঞ্চলে শীতকালে সিমের চাষ অনেক বেশি হয়ে থাকে সিম চাষের জন্য শীতকাল একটি উপযোগী মৌসুমী। এবং কৃষকদের জন্য সিম চাষ একটি লাভজনক ফসল এছাড়াও সিম বাড়ির আঙিনায় অথবা ছোট খেতে রাস্তার ধারে বেড়া দিয়ে সহজেই কাজ করতে পারবেন সিম গাছ খুব সহজেই বেড়ে উঠতে পারে এছাড়াও সিমের বাজার মূল্য বেশ ভালো। এবং চাহিদাও রয়েছে তাই সিম চাষ আপনার জন্য একটি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার একটি সুবর্ণ সুযোগ করে দেয়।
শালগম শালবন একটি শীতকালীন পুষ্টিকর মূল জাতীয় সবজি বা ফসল এটি দেখতে হালকা বেগুনি এবং সাদা রঙের হয়ে থাকে এটি খাওয়ার জন্য বেশ উপযোগী শালগম ভর্তা ভাজি এবং তরকারি উভয় হিসেবে খাওয়া যায় । শালগমের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি ফাইবার এন্টিঅক্সিডেন্ট শালগম আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং হজমে অনেকটা সহায়তা কর শালগম এই ফসলটা শীতকালে ভালো উৎপাদন হবে
ব্রোকলি ব্রকলি এটি দেখতে অনেকটা ফুলকপির মতই এই ফসল বা সবজি আস্তে আস্তে আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এটি দেখতে যেমন সুন্দর এর অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে ব্রকলির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন খনিজ উপাদান ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এছাড়া ব্রকলি আমাদের শরীরের হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশেষ রকম সাহায্য করে ব্রকলি সালাদ সুপ এবং চাইনিজ ডিস হিসেবে ব্যবহার করে আসছে এবং তরকারি করে খাওয়া যায় শীতকালীন মৌসম বা শীতকালীন আবহাওয়া ব্রকলি চাষের জন্য বেশ উপযোগী শীতের ফসলগুলো শুধু আমাদের চাহিদায় পূরণ করে না। ব্লকলির চাহিদা বাজারে অনেক আছে তাই এই ফসল চাষ আপনার জন্য লাভজনক হতে পারে
এ ফসলগুলি কৃষকের মুখে হাসি ফোটাতে সাহায্য করবে। এছাড়াও আমাদের প্রকৃতির রূপকে নতুন রূপে সাজিয়ে তোলে। তাই আসুন আমরা এই শীতে দেশী এবং তাজা পুষ্টিকর ফসল গুলো স্বাদ গ্রহণ করি এবং পরিশ্রমে কৃষকদের পাশে দাঁড়ায় তাদের পরিশ্রম যেন বৃথা না যায় সে চেষ্টায় করবো কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং তাদের ঘাম ঝরানোর ফলস্বরূপ বাজারে শীতকালীন ফসলগুলোর বাজার মূল্য সঠিকভাবে নির্ধারণ করে দিতে হবে।
কোন সবজি কখন চাষের উপযুক্ত সময়
দেশের সবজি চাষের মৌসুম কখন কোন সবজি চাষ করবেন বাংলাদেশের উর্বর মাটি এবং অনুকূল আবহাওয়ার কারণে প্রায় সারা বছরই বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করা সম্ভব। তবে প্রতিটি সবজিরই একটি নির্দিষ্ট মৌসুম বা সময় থাকে, যখন তার ফলন সবচেয়ে ভালো হয়। সঠিক সময়ে সঠিক সবজি চাষ করলে একদিকে যেমন ভালো ফলন পাওয়া যায়, তেমনি পোকামাকড় ও রোগের আক্রমণও কম হয়।
কৃষি মৌসুমকে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়: রবি (শীতকালীন), খরিফ-১ (গ্রীষ্মকালীন) এবং খরিফ-২ (বর্ষাকালীন)। নিচে এই তিন মৌসুমের বিভিন্ন সবজির চাষের সময় এবং উৎপাদনকাল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো রবি মৌসুম (শীতকালীন সবজি) শীতকাল সবজি চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী সময়। এই মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকে এবং তাপমাত্রা কম থাকে, যা অনেক সবজির ভালো ফলনের জন্য সহায়ক।
- বীজ বপন/চারা রোপণ: অক্টোবর - ডিসেম্বর (কার্তিক - পৌষ)
- উৎপাদন ও সংগ্রহ: ডিসেম্বর - মার্চ (পৌষ - ফাল্গুন)
- সবজির নাম বীজ বপন/চারা রোপণের সময় উৎপাদন ও সংগ্রহের সময়
- ফুলকপি, বাঁধাকপি অক্টোবর - নভেম্বর ডিসেম্বর - ফেব্রুয়ারি
- টমেটো (আগাম) আগস্ট - সেপ্টেম্বর নভেম্বর - জানুয়ারি
- টমেটো (নাবী) অক্টোবর - নভেম্বর ফেব্রুয়ারি - এপ্রিল
- মূলা সেপ্টেম্বর - নভেম্বর অক্টোবর - জানুয়ারি
- গাজর অক্টোবর - নভেম্বর ডিসেম্বর - ফেব্রুয়ারি
- শালগম সেপ্টেম্বর - নভেম্বর নভেম্বর - জানুয়ারি
- শিম জুলাই - সেপ্টেম্বর নভেম্বর - ফেব্রুয়ারি
- লাউ (শীতকালীন) আগস্ট - অক্টোবর অক্টোবর - ফেব্রুয়ারি
- পালং শাক, লাল শাক সেপ্টেম্বর - জানুয়ারি অক্টোবর - মার্চ
- আলু অক্টোবর - নভেম্বর জানুয়ারি - মার্চ
- মটরশুঁটি অক্টোবর - নভেম্বর ডিসেম্বর - ফেব্রুয়ারি
- ওলকপি সেপ্টেম্বর - অক্টোবর নভেম্বর - জানুয়ারি
- পেঁয়াজ, রসুন অক্টোবর - নভেম্বর ফেব্রুয়ারি - এপ্রিল
- ব্রোকলি সেপ্টেম্বর - নভেম্বর ডিসেম্বর - ফেব্রুয়ারি
১০ টি শীতকালীন সবজির নাম
শীতকালীন মৌসুম একটি শাক সবজি উৎপাদনের জন্য অন্তত উপযোগী মৌসুম শুধু শাকসবজি নয় ফলমূল গুলো অনেক হয় শীতকালে চলুন তবে দেরি না করে জেনে নেই ১০ টি শীতকালীন সবজির নাম আলু ফুলকপি বাঁধাকপি লাল শাক পালং শাক বেগুন মটরশুটি শালগম টমেটো মুলা গাজর সিম লাউ
শীতকালীন সবজি চাষের সময় ফুলকপি ও বাঁধাকপি: আগাম জাতের জন্য আগস্টের শেষ থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বীজতলায় বীজ বপন করা হয়। মূল জমিতে চারা রোপণ করা হয় সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাসে। নাবি বা পরের জাতের ক্ষেত্রে অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত বীজ বপন ও চারা রোপণ চলে।
- টমেটো: শীতকালীন টমেটো চাষের জন্য অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত বীজ বপন করে চারা তৈরি করা হয়। এরপর নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসে চারা মূল জমিতে রোপণ করা হয়।
- লাউ: সাধারণত সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত লাউয়ের বীজ বপন করা হয়।
- শিম: সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত শিমের বীজ বপনের উপযুক্ত সময়।
- মূলা: আগাম জাতের জন্য ভাদ্র-আশ্বিন (আগস্ট-সেপ্টেম্বর) মাসে এবং নাবি জাতের জন্য কার্তিক-অগ্রহায়ণ (অক্টোবর-নভেম্বর) মাসে মূলা চাষ করা হয়।
- গাজর: গাজরের বীজ বপনের উত্তম সময় হলো অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত।
- পালং শাক: সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত পালং শাকের বীজ বপন করা যায়।
- লাল শাক: প্রায় সারাবছর চাষ করা গেলেও শীতকালে এর ফলন ভালো হয়। শীতকালীন চাষের জন্য সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাসে বীজ বপন করা উত্তম।
- বরবটি: সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাস বরবটি চাষের জন্য উপযুক্ত সময়।
- ওলকপি: আগস্ট থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ওলকপির বীজ বপন করা যায়।
- শালগম: সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত শালগমের বীজ বপন করা হয়।
সঠিক সময়ে উপযুক্ত জাতের সবজি চাষ করলে এবং সঠিক পরিচর্যা করলে ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব। কৃষকদের আবহাওয়ার অবস্থা ও মাটির ধরন বুঝে সবজি চাষের সময় নির্ধারণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
শীতকালীন শাকের নাম
প্রিয় পাঠক উপরের আলোচনা গুলো পড়ে নিশ্চয়ই আপনি জানতে পেরেছেন শীতকালীন ফসল গুলোই চাষ করে আপনি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারবেন এখন আমরা আপনাকে জানাবো শীতকালীন শাকের নাম শীতকালীন মৌসুমে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি উৎপাদন হয়ে থাকে এর মধ্যে থেকে জনপ্রিয় কিছু শীতকালীন শাকের নাম চলুন জেনে নেওয়া যাক পালং শাক লেটুস ধনেপাতা লাউ শাক লাল শাক এছাড়াও শীতকালে যেসব সবজি উৎপাদন হয় সেগুলো হল টমেটো আলু ফুলকপি বাঁধাকপি লাউ মটরশুটি বরবটি পেঁয়াজ ইত্যাদি
শীতকালে কি কি ফল হয়
ফসল বা সবজি উৎপাদনের পাশাপাশি অনেক দেশি-বিদেশি ফল পাওয়া যায় যেগুলো আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের ঘাটতি পূরণ করতে অনেকটা কার্যকরী আমাদের দেশে এসব ফল শীতকালে পাওয়া যায় বা উৎপাদন হয় চলুন দেরি না করে শীতকালে কি কি ফল হয় জেনে নেওয়া যাক
- বরই বা কুল বরই মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে বরই আমাদের শরীরের রক্ত পরিষ্কার করে ও বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে আমাদের শরীরের সর্দি কাশি দূর করতে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করে সাহায্য করে।
- কমলা পরিপূর্ণ ভিটামিন সি একটি ফল হল কমলা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং শীতকালে সর্দি কাশি দূর করতে সাহায্য করে এছাড়াও অনেক উপকারিতা রয়েছে
- আঙ্গুর আমাদের শরীরকে সুস্থ সবল ও সতেজ রাখতে আঙ্গুর অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ,এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে আঙ্গুর চাষের জন্য শীতকাল অনেক উপযোগী একটি মৌসুম
- জলপাই জলপাই ফল খেতে,টক জলপাই থাকে ভিটামিন সি শীতকালে জলপাই খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী জলপাই ফল সাধারণত শীতকালে পাওয়া যায়
- পেয়ারা পেয়ারা সবচেয়ে অতি পরিচিত ফলের মধ্যে একটি পেয়ারা চাষের জন্য আমাদের দেশের আবহাওয়া অনেক উপযোগী পেয়ারা ফল আমাদের দেশে সারা বছরই পাওয়া যায় তবে শীতকাল মৌসুম পেয়ারা চাষ করার জন্য অত্যন্ত উপযোগী এতে ভিটামিন সি রয়েছে পেয়ারা আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী আপনাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দেহকে সুস্থ সবল রাখতে সাহায্য করে । এটি খেতে অনেক মিষ্টি এবং সুস্বাদু হয়।
- বেদানা বা ডালিম শীতকালীন ফল গুলোর মধ্যে একটি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ফল হল ডালিম এটি আমাদের শরীরের রক্ত সল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। এবং দেহের রক্ত বৃদ্ধি করতেও অনেক কার্যকরী ডালিমের অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে এর মধ্যে থাকা ভিটামিন ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী এটিকে একটি শীতকালীন ফল হিসেবে ধরা হয়
- আমলকি আমলকি একটি শীতকালীন ফল এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অনেকটা কার্যকর ভূমিকা পালন করে
- সফেদা এরপর কি দেখতে যেমন সুন্দর হয় তেমনি খেতেও অনেক মিষ্টি এবং সুস্বাদু এবং এর বহু পুষ্টিগুণ রয়েছে একটি শীতকালীন দেশীয় ফল হিসেবে বিবেচনা করা হয়
- গাজর গাজর একটি অতি জনপ্রিয় এবং পরিচিত ফল এটি সাধারণত শীতকালে পাওয়া যায় গাজরের অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে হাড় কে শক্ত করে , এবং আমাদের চোখের জ্যোতির জন্য অত্যন্ত উপকারী গাজর গাজরের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ বিটা ক্যারোটিন গাজর দেখতে অনেক সুন্দর হয়
- পেপে শীতকালে অত্যন্ত সুস্বাদু এবং মিষ্টি একটি ফল হল পেঁপে, পেঁপের মধ্যে থাকা অন্টিক্সিডেন্ট ভিটামিন আমাদের শরীরের রোগ ক্ষতি প্রতিরোধ করেন যাদের ক্যান্সার রয়েছে তাদের জন্য পেঁপে একটি অত্যন্ত উপকারী ফল
- জাম্বুরা জাম্বুরার অনেক ক্ষণ রয়েছে এবং ভিটামিন রয়েছে ভিটামিন এ ভিটামিন সি ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম থায়ামিন এবং একটি লো ক্যালোরি সমৃদ্ধ ফল যা আমাদের শরীরের ক্যান্সারের বুকে কমাতে সাহায্য করে এবং কিডনিতে পাথর রোধ করে এছাড়াও আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- আনারস আনারস কে ভিটামিন সি এর ভাণ্ডার হিসেবে বলা হয় আমাদের শরীরের জন্য ভিটামিন সি অত্যন্ত প্রয়োজন উপাদান ভিটামিন সি আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে তোলে
- ব্রকলি ব্রকলি একটি সবজি বা ফল হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে প্রকৃতি এই সবজিতে বা ফলে ফাইবার নিয়ে থাকে হৃদরোগ জন্য অত্যন্ত উপকারী এই ব্রকলি আমাদের শরীরের কিডনি রোগ মুক্রাশয় এবং পাকস্থলীর সাথে যুক্ত নানান ধরনের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি থেকে বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ব্রকলি
- নাশপাতি বা আপেল আমাদের শরীরের ভালো এবং উপকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরি করতে অনেকটা সাহায্য করে নাশপাতি বা আপেল আমাদের শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে এটি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর একটি ফল। শরীরের ব্যথা বা ফোলা ভাব কমাতে সাহায্য করে নিয়ম করে প্রতিদিন যদি একটি করে আপেল খেতে পারেন তাহলে আপনি অনেক ভালো স্বাস্থ্যের অধিকারী হবেন
শীতকালীন ১০টি ফলের নাম
প্রিয় পাঠক উপরের আলোচনা গুলো পড়ে নিশ্চয় আপনি জানতে পেরেছেন শীতকালীন ১০ টি ফলের নাম এবং এর উপকারিতা গুলো কি কি এছাড়াও শীতকালীন ফল গুলোতে কি কি ভিটামিন থাকে আমরা এটাই আপনাকে বলব যে শীতকালীন ফলগুলো শুধু আমাদের শরীরের খাওয়ার চাহিদা মেটাইনা এগুলো আমাদের শরীরের স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী
নিজের দেহকে সুস্থ সবল এবং তাজা রাখতে দেশীয় শীতকালীন ফল খাওয়া আবশ্যক শীতকালীন ফল গুলো আমাদের শরীরের বিশেষ করে সর্দি-কাশি ঠান্ডা আবহাওয়া ফুসফুস ইত্যাদি রোগ সাথে লড়াই করার শক্তি যোগায় শীতকালীন ফলগুলোতে রয়েছে ভিটামিন ক্যালসিয়াম ক্যালরি ফাইবার খনিজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মতো অনেক উপাদান। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন
শীতকালীন ফসল কি কি কোন সবজি কখন চাষের উপযুক্ত সময় শেষ কথা
শীতকাল বাংলাদেশের কৃষকদের জন্য এক সম্ভাবনার ঋতু। এই সময়ে আবহাওয়া এবং মাটি বিভিন্ন প্রকার ফসল ও সবজি চাষের জন্য অনুকূল থাকে। সঠিক পরিকল্পনা, উন্নত জাতের বীজ নির্বাচন এবং সময়মতো চাষাবাদ শুরু করা হলে কেবল পারিবারিক পুষ্টির চাহিদাই পূরণ হয় না, বরং অর্থনৈতিকভাবেও লাভবান হওয়া সম্ভব।সফল ফসল উৎপাদনের জন্য শুধু সঠিক সময়ে বীজ বপনই যথেষ্ট নয়; এর সাথে প্রয়োজন নিয়মিত পরিচর্যা,
যেমন - সুষম সার প্রয়োগ, সেচ ব্যবস্থাপনা এবং রোগ ও পোকামাকড় দমন। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ গ্রহণ করলে ফলন আরও বহুগুণে বৃদ্ধি করা সম্ভব। পরিশেষে বলা যায়, শীতকালীন ফসলের সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষকরা নিজেদের ভাগ্য বদলাতে পারেন এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url